Type Here to Get Search Results !

উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল

নতুন বিসিবি সভাপতি তার কাজের সুবিধার্থে আজ তিন ব্যক্তিকে তার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন, সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি ও শেখ মাহাদী।

বিসিবি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাখাওয়াত হোসেন হলেন হসপিটালিটি বিশেষজ্ঞ। এ কারণে তাকে বিসিবির ট্যুরিজম স্পেশালিস্ট হিসেবে, আবিদ হোসেন সামিকে স্পোর্টস মিডিয়া এনালিস্ট এবং শেখ মাহাদীকে লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

বিসিবির গঠনতন্ত্রেই সভাপতিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করার। যারা তার কাজে পরামর্শ দেবেন। সর্বোচ্চ ৫ সদস্যের কমিটি করতে পারবেন সভাপতি।

গঠনতন্ত্রের চতুর্থ অধ্যায়ের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে কারা উপদেষ্টা হতে পারবেন, এ বিষয়ে বলা আছে। যেখানে উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতা বিষয়ে ‘দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের মধ্যে হইতে’ কথাটি লেখা আছে। বিসিবি সভাপতি এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের থেকে প্রয়োজনে উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ আছে সেখানে।

তবে, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মনোনয়ন দেওয়া তিন ব্যক্তির যোগ্যতা গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত যোগ্যতার সঙ্গে মেলে না। এই তিনজনের কেউই ক্রিকেটার বা সংগঠক নন। তাহলে কীভাবে এই তিনজনকে, কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলো? এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়ে গেছে এরই মধ্যে।

এ বিষয়ে মিডিয়ার পক্ষ থেকে বিসিবির সভাপতির কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। তিনি জবাবে বলেন, ‘এটা অ্যাডজাস্ট (সমন্বয়) করার চেষ্টা করব। এর আগেও কিন্তু একই পদ্ধতিতে তিনজন অ্যাডভাইজার ছিলেন। বেজড অন দ্য নিড (প্রয়োজনের নিরিখে) আমরা এটা করেছি।’

সভাপতির নিয়োগ দেয়া উপদেষ্টাদের কাজ কী? তাদের কাজের পরিধি কী কী- সেসব বিষয়েও বিসিবির গঠনতন্ত্রে বলা আছে। বিসিবি সভাপতি চাইলে তাদের পরিচালকদের সভায় ডাকতে পারবেন। যদিও উপদেষ্টাদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না। এছাড়া বিসিবি সভাপতি চাইলে তাদের যেকোনো একজনকে অথবা সবাইকে কোনো স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।

তিন ক্যাটাগরিতে তিন উপদষ্টাকে নিয়োগ দেওয়ার স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবি সভাপতি বুলবুল। তিনি বলেন, ‘আমি তো ক্রিকেটের লোক। ধরেন, অনেক লিগ্যাল ব্যাপার আছে। এখানে কোনো ভুল করতে চাই না। এ জন্য আমার কাছে মনে হয়েছে একজন উপদেষ্টা দরকার এখানে। আর ক্রিকেট এখন শুধু খেলা নয়, বৈদেশিক মুদ্রা আনছে, সঙ্গে এখানে আমরা কর্মসংস্থান তৈরি করি। অস্ট্রেলিয়া বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বলেন বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ- তারা কিন্তু ক্রিকেট ট্যুরিজমের বিষয়ে প্রচুর আগ্রহী। যে জায়গাটায় আমরা দুর্বল। কক্সবাজারে খেলা হলো বা সিলেটে খেলা হচ্ছে- সবাই ফিরে বলে তোমাদের এখানে চা–বাগান আছে…ক্রিকেট ট্যুরিজম কীভাবে বাড়ানো যায়, ওটার কারণে একজন উপদেষ্টা নিয়েছি।’

এছাড়া ক্রিকেট উপদেষ্টার কাজের পরিধি নিয়ে আমিনুলের ব্যাখ্যা, ‘ক্রিকেট কিন্তু এখন এগিয়ে যাচ্ছে, শুধু ফিল্ড পারফরম্যান্সে নয়, এখানে ডিজিটালাইজেশন বা এখানে যে সোশ্যাল মিডিয়া, তারপর ধরেন ক্রিকেটটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানোর জন্য যে মেকানিজম দরকার- সে লক্ষ্যে একজন অ্যাডভাইজার নিয়েছি। নট টু অ্যাডভাইজ ক্রিকেট গ্রোথ অর ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট, রাদার মোর ক্রিকেটটাকে ডিজিটালাইজ করে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করে ক্রিকেটটাকে (যাতে) আরও পপুলার করতে পারি।’

আইএইচএস/ইএ



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/FpNB0c3

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.