সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনাটি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

নির্দেশনার মূল বিষয়সমূহ

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নতুন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা কর্তব্য নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই কার্যকর হয়েছে।

ঢাকার বর্তমান অবস্থা

‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হয়। এছাড়া স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির জন্য অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার সময়মতো এই নিয়মগুলো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগগুলো সফল হয়নি।

নতুন সরকারের আওতায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ২ জুলাই উচ্চ আদালত ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ কার্যকর করার নির্দেশ দেন। এর পরে ৪ জুলাই নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

বর্তমান পরিস্থিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর, ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এখনো সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে এবং এটি দেশের প্রশাসনিক স্বচ্ছতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।