Type Here to Get Search Results !

আইনসভা হবে ২ কক্ষের, নিম্নকক্ষের নাম জাতীয় সংসদ-উচ্চকক্ষ সিনেট

জুলাই সনদের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের কথা বলা হয়েছে। নিম্নকক্ষের নাম জাতীয় সংসদ এবং উচ্চকক্ষের নাম সিনেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো জুলাই সনদের খসড়া থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে আইনসভা গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংবিধানে যুক্ত করা হবে যে, বাংলাদেশে একটি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা থাকবে, যার নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) এবং উচ্চকক্ষ (সিনেট) ১০০ সদস্য নিয়ে গঠিত হবে।

নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের ১০০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন।

উচ্চকক্ষের মেয়াদ হবে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছর। তবে কোনো কারণে নিম্নকক্ষ ভেঙে গেলে উচ্চকক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নিম্নকক্ষের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় একই সঙ্গে উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। তালিকায় কমপক্ষে ১০ শতাংশ নারী প্রার্থী থাকতে হবে।

উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের প্রস্তাবিত আইন প্রণয়নের পর্যালোচনা করবে। উচ্চকক্ষের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না; তবে কোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য নিম্নকক্ষ বরাবর প্রস্তাব করতে পারবে।

নিম্নকক্ষে পাসকৃত অর্থবিল এবং আস্থা ভোট ব্যতীত সকল বিল উচ্চকক্ষে উপস্থাপিত হতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকাতে পারবে না। উচ্চকক্ষ কোনো বিল সর্বোচ্চ ২ মাসের বেশি আটকে রাখলে, তা উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে বিবেচিত হবে।

যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে সেক্ষেত্রে উভয়কক্ষ কর্তৃক পাসকৃত বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে উচ্চকক্ষ সংশোধনের সুপারিশসহ বিল পুনর্বিবেচনার জন্য নিম্নকক্ষে পাঠাবে নিম্নকক্ষ উচ্চকক্ষের প্রস্তাবিত সংশোধনগুলো সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

উচ্চকক্ষের কাছ থেকে ফেরত পাঠানো বিল যদি নিম্নকক্ষের অধিবেশনে আবারও পাস হয়, তবে উচ্চকক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত যে কোনো বিল উচ্চকক্ষের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করতে হবে।

উল্লিখিত বিধান অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সংবিধানের পঞ্চম ভাগে প্রয়োজনীয় সংযোজন ও সংশোধন করা হবে। তাছাড়া সংবিধানের অন্যান্য ভাগেও কিছু কিছু সংশোধন করা হবে। এছাড়া নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের গঠন প্রক্রিয়ায় এবং বর্ণিতভাবে উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কিত বিধান
অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সংবিধানের পঞ্চম ভাগে প্রয়োজনীয় সংযোজন ও সংশোধন করা হবে।

উচ্চকক্ষের সদস্যদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংবিধানে এরূপ যুক্ত করা হবে যে, উচ্চকক্ষের সদস্যদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিম্নকক্ষের সদস্যদের যোগ্যতার অনুরূপ হবে।

এনএস/এমআরএম



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/qrOVhKS

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.