Type Here to Get Search Results !

‘লঞ্চে পা ফেলার জায়গা নেই, এত মানুষ’

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকা ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এরমধ্যে নৌপথে লঞ্চগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরিশাল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই প্রতিটি লঞ্চে ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে যাত্রী উঠানো হয়েছে লঞ্চে।

সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী মামুন বলেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কেবিনের দরজা পর্যন্ত খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পুরো লঞ্চের মধ্যে পা ফেলার মতো জায়গা নেই। এমনকি লঞ্চের নামাজের স্থানটুকু পর্যন্ত যাত্রীতে পরিপূর্ণ।

jagonews24

মানামী লঞ্চের যাত্রী মনির হাওলাদার বলেন, পরিবার ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না, তবুও রোববার থেকে অফিস শুরু হবে। সেজন্য রওয়ানা দিলাম।

অপর এক যাত্রী শারমিন বলেন, ঈদের আগেও আসার সময় সারারাত লঞ্চে একইভাবে কষ্ট করে এসেছি। এখন আবার কষ্ট করেই ফিরতে হচ্ছে। বিকেল ৫টা থেকে নদী বন্দরে পুলিশ ও কিছু লোকজনকে অতিরিক্ত যাত্রী না উঠাতে ও সময় মতো লঞ্চ ছাড়ার জন্য মাইকিং করতে দেখেছি।

যাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চগুলো ছাড়ার কথা থাকলেও রাত ৯টার আগে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। এ অবস্থায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

এদিকে নদী বন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সি‌ভিল ডিফেন্সের সদস্যরাও রয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদীর বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ না ছাড়ে।

তিনি বলেন, বরিশাল নদী বন্দর থেকে শনিবার ১০টি লঞ্চ সরাসরি ও ২ ভায়া লঞ্চসহ মোট ১২টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এর আগে শুক্রবার ১৪টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

বরিশালের জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, লঞ্চে যেন কোনো যাত্রী হয়রানির শিকার না হন এজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।

শাওন খান/জেডএইচ/



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/LXHATg2

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.