Type Here to Get Search Results !

‘দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে’

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারাবিশ্বে নানারকম সংকট দেখা দিয়েছে। অসময়ে বৃষ্টি-বন্যা আর অনাবৃষ্টির জন্য খাদ্য উৎপাদন নিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছে মানুষ। পানীয়জলের গুণগতমান বদলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে মানব স্বাস্থ্য। আগামী শতকের পরিস্থিতি কী হবে তা বিবেচনা করে আমাদের দুর্যোগ এবং তার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড অ্যানভারন (সিপিই) আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান সম্মেলনে এ বিষয় উঠে এসেছে। দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্স দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিবেশ এবং জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

সম্মেলনে সিপিই’র পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহমান রানা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ান জলবায়ু সম্মেলনের উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যুবদের জলবায়ু গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এখানকার জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে ভূমিকা রাখা। তারই ধারাবাহিতায় আমরা এ বছর আন্তর্জাতিক মানের ক্লাইমেট সায়েন্স ও পলিসি নামে একটি জার্নাল প্রকাশ করেছি যেখানে স্থান পেয়েছে প্রথম সম্মলনে অংশগ্রহণকারীদের গবেষণা।’

‘আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি সাউথ এশিয়ান গবেষকদের নেটওয়ার্ক ‘সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব’। এ হাব যুব গবেষকদের দক্ষতা উন্নয়নে নানা প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা করে যাচ্ছে।’

সম্মেলনে সিপিই’র বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মনিরুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রকল্পখাতই বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী কোনো দেশই জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার বাইরে নয়। আগামী ৭৫-১০০ বছরে কী হবে তা বিবেচনা করে আমাদের দুর্যোগ এবং তার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’

সম্মেলনে আলোচক হিসেবে কৃষিবিদ ড. জগৎ চাঁদ মালাকার বলেন, ‘কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ুর পরিবর্তন হবে। দেশের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে ইকোসিসটেম বেজড জ্ঞানের সঙ্গে কৃষকের লুকায়িত জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সম্বন্বয় ঘটিয়ে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিবাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়ে খাদ্যর সহজলভ্যতা, খাদ্যর সামর্থ্য ও খাদ্যের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আমাদের নারী ও কন্যারা পরিবারের পুরুষ সদস্যর তুলানায় সবসময় কম পুষ্টির খাবার পায়। এতে করে নারীরা পুষ্টিহীনতায় ভোগেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব যে বাড়িতে যে রান্না হয় সেগুলো যেন সুষম বণ্টন হয়।’

ভারতের গ্লোবাল ফোরাম ফর সাসটেইনেবল রুরাল ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান ড. শিলাদত্ত চ্যাটার্জি বলেন, ‘দুটি দেশ একত্রে কাজ করলে এডিপি প্রায় চার শতাংশ বাড়বে।’

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের সঙ্গে সমন্বয় করে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. জয়ন্ত চৌধুরী।

এনএইচ/এমএএইচ/



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/P6LrKuU

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.